ইংরেজিতে একটি প্রবাদ রয়েছে ‘Elephant in the room’ । বাংলায় যার ভাবার্থ ‘সমস্যা ভয়াবহ কিন্তু আলাপ-আলোচনা কম’। বর্তমানের তথ্য প্রযুক্তির যুগে ইনফোডেমিক সে রকম একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শব্দগতভাবে ‘ইনফোডেমিক’ ইংরেজি ‘ইনফরমেশন’ শব্দের ‘ইনফো’ এবং ‘প্যান্ডেমিক’-এর ‘ডেমিক’ নিয়ে গঠিত হয়েছে। যার অর্থ ‘তথ্য মহামারি’। আবার একে অপতথ্যের মহামারিও বলা চলে।
২০০৩ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি কলামে ডেভিফ রথকফ ‘ইনফোডেমিক’
শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। বর্তমানে শব্দটি প্রায় সব বিশ্বসেরা অভিধানে জায়গা করে
নিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
সংস্থা ‘ইনফোডেমিক’ শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু করেছে।
কোভিড-১৯ অতিমারি চলাকালে
ইনফোডেমিকের চ্যালেঞ্জটি বেশি করে স্পষ্ট হয়েছে। সেসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক
বলেছিলেন, কোভিড-১৯ থেকে মানুষের প্রাণ বাঁচাতে গৃহীত জনস্বাস্থ্য পদক্ষেপের মতোই
সমান গুরুত্বপূর্ণ হল ইনফোডেমিক বা তথ্যমারির সমাধান খোঁজা।
যখন ভুল তথ্য বার বার প্রচার
করা হয় এবং বাড়িয়ে বলা হয়, তখন তা মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। সবচেয়ে বড় বিপদ
হল এই যে, একবার গুজব বা মিথ্যা তথ্য মানুষের মনে গেঁথে গেলে সত্যের উপরে ভিত্তি
করে প্রতিষ্ঠিত তথ্যও মানুষ অবিশ্বাস করা শুরু করে।
No comments:
Post a Comment